CEDAW এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Convention on the Elimination of all forms of Discrimination Against Women।
নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক সিডো (CEDAW) সনদ গ্রহণ করে।
১৯৪৬ সালে নারী মর্যাদা কমিশন, ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ মানববাধিকার কমিশন, ১৯৭৫ সালে বিশ্ব নারী সম্মেলন ও পরবর্তীতে ১৯৭৬-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত নারী দশক ঘোষণা ও আরো অসংখ্য দলিলের উপর ভিত্তি করে ১৯৭৯ সালের ৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এই CEDAW সনদ প্রণয়ন করে।
সিডো সনদ কি বা কাকে বলে?
সিডো (CEDAW) হচ্ছে যুগ যুগ ধরে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূর করা এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক সনদ বা চুক্তি।
CEDAW সনদের মূল বাণী হলো নারীসমাজ, সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়নের যুগ যুগ ধরে নারী সমাজ যে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে আসছে তার যথাযথ স্বীকৃতি দান। মানুষ হিসেবে নারীর নিজের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা।
মানুষের মৌলিক অধিকার মর্যাদা ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতার নিশ্চয়তা বিধানের আবশ্যকীয়তা এবং নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দান করাই হচ্ছে CEDAW সনদের মূল লক্ষ্য।
CEDAW সনদের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এতে প্রয়োজনীয় পরিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। CEDAW অনুমোদনকারী রাষ্ট্রসমূহকে স্বাক্ষরদানের দু’বছরের মধ্যে তাদের দেমের নারীর বর্তমান অবস্থা, নারী উন্নয়নের বাধা এবং সনদের নীতিমালা অনুসরণের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি Report পাঠানো হবে।
সনদে শরিক রাষ্ট্রসমূহ কর্তৃক ব্যক্তি যোগ্যতায় নির্বাচিত বিশেষজ্ঞদের ২৩ সংখ্যাবিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটির দায়িত্ব হলো এসব Report পরীক্ষা করা ও CEDAW নীতিমালা বাস্তবায়নে যথাযথ সুপারিশ করা।
আরও পড়ুন:
- জাতি-বর্ণ প্রথা কাকে বলে?
- ক্ষমতা কাকে বলে? | ক্ষমতার সংজ্ঞা দাও
- সুশীল সমাজ কাকে বলে? | সুশীল সমাজের সংজ্ঞা দাও
- পল্লী বা গ্রাম উন্নয়ন কাকে বলে?
- ভি-এইড (V-AID) কর্মসূচী কি বা কাকে বলে?
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, নারীর মর্যাদা ও উন্নয়ন বিধানে সিডো সনদের গুরুত্ব অত্যধিক সেজন্য নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ বা CEDAW কে নারীর জন্য ‘ম্যাগনাকার্টা’ এবং ‘বিল অব রাইটস’ বলা হয়।


