এক ধরনের ডিসেন্ট্রালাইজড ভার্চুয়াল কয়েনকে ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে বলা হয়। বর্তমান সময় সারা বিশ্বে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর ব্যাপক হারে প্রচার ও প্রসার ঘটেছে।
এবং পুরো বিশ্বে প্রায় ৫৬০ মিলিয়নের অধিক মানুষ এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন সহ আরও অনেক কাজে ব্যবহার করে থাকেন। এখন ১ মিলিয়ন সমান যদি ১০ লক্ষ মানুষ হয়ে থাকে তাহলে ৫৬০ মিলিয়নে কি পরিমাণ মানুষ হতে একবার শুধু কল্পনা করুন। এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
আপনি যদি কিপ্টোকারেন্সি (CryptoCurrency) সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
আজকের আর্টিকেলে আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি কী, ক্রিপ্টোকারেন্সির কাজ কী, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে মানুষের কি লাভ বা লস এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কী বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কাকে বলে?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে এক অনলাইন মুদ্রা যা হাত স্পর্শ করা যায় না। এই মুদ্রা শুধু অনলাইনে আপনার ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মধ্যেই দেখতে পাবেন।
সময়ের বিবর্তনে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বর্তমান ব্যাপক হারে বেড়েছে।
বর্তমানে বিভিন্ন স্টোর বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করেছে।
কয়েকটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম হচ্ছে, বিটকয়েন (Bitcoin), ইথেরিয়াম (Ethereum), বিনবি (BNB), এক্সআরপি (XRP), সোলানা (Solana) ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিষ্ঠাতা কে? প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম কি?
২০০৯ সালে ’সাতোশি নাকামোতো’ ছদ্মনাম ব্যবহার করে এক ব্যক্তি প্রথম কিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন।
এবং প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সিটির নাম রাখা হয় ‘বিটকয়েন’। যার বর্তমান মার্কেট ক্যাপ হচ্ছে প্রায় ২.১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মতোন।
তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিষ্ঠাতা ‘সাতোশি নাকামোতো’র আসল পরিচয় এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
তবে এটা ধারণা করা হয় যে একটি ব্যক্তি বা একটি দলের ছদ্মনাম হচ্ছে এই ‘সাতোশি নাকামোতো’।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন হচ্ছে এক ধরনের বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল মুদ্রা যা কোনো ধরনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। ক্রিপ্টোকারেন্সির সকল কার্যক্রম ব্লকচেইন (Blockchain) নামক পাবলিক লেজারে রেকর্ড করা হয়।
যা কিনা সব ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন ট্রাক করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কি স্থির থাকে না বাড়া কমা করে?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল মুদ্রা। সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতোন এর দাম নিয়ন্ত্রণ করার কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়তই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কমা বাড়া করতেই থাকে।
বাজারে যে ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা বাড়ে সেই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দামও তর তর করে বাড়তে থাকে। আর বাজারে যে ক্রিপ্টোকারেন্সিটির চাহিদা কমে যায়, সেই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দামও সাথে সাথে কমে যায়।
উদাহরণস্বরূপ: কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে যদি মার্কেটে কোনো ভালো নিউজ আসে তাহলে সেই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দামও বেড়ে যায়। একই ভাবে কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে একটি খারপ নিউজ যদি মার্কেটে তাহলে সেই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দামও কমে যায়।
তাই বলা যায় যে, ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম স্থীর নয় বরং ‘অস্থীর’।
আরও পড়ুন:
পরিশেষে, আশা করি এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি কী? | ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন’ আর্টিকেলটি আপনার একটু হলেও উপকারে এসেছে।
এ বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।


