যে কোনো বাদামেই রয়েছে উপকারী অনেক উপাদান। তবে কাজু বাদামে যেন একটু বেশিই উপকারী উপাদান রয়েছে।
এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
কাজু বাদামে কি কি উপকারী উপাদান রয়েছে?
কাজু বাদামে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে। কাজু বাদামের উপকারী উপাদানগুলো তালিকা আকারে নিচে দেওয়া হলো:
- ম্যাঙ্গানিজ,
- ফাইবার,
- ফসফরাস,
- কপার,
- প্রোটিন,
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
- ক্যালসিয়াম,
- ম্যাগনেসিয়াম,
- পটাসিয়াম,
- আয়রন,
- জিঙ্ক,
- ভিটামিন বি৬,
- ভিটামিন কে, ইত্যাদি।
কাজু বাদাম খাওয়ার ৫টি উপকারিতা
১. আমাদের মস্তিষ্ক বা ব্রেইনের পাওয়ার বৃদ্ধি করে: বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আর একবার ব্রেইনের পাওয়ার বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে ব্রেইনের কগনিটিভ ফাংশনেরও উন্নতি ঘটে। ফলে স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি ও মনোযোগও বাড়তে শুরু করে।
২. সংক্রমণের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
৩. এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
আপনি যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়ই হয়ে থাকেন তবে প্রতিদিনের ডায়েটে কাজু বাদাম অবশ্যই রাখবেন।
৪. খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়: কাজু বাদামে রয়েছে অলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। এবং নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ফলে, হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একদম কমে যায়।
৫. ক্যান্সারের মতোন মরণ ব্যাধি থেকে দূরে রাখে: উদাহরণস্বরূপ, ক্যান্সার যদি সাপ হয় তবে কাজু বাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হচ্ছে বেজি।
সেজন্যই যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাড়ায়।
সেজন্য আর্ন্তজাতিক পুষ্টিবিদরা ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচতে দৈনিক এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৬. কাজু বাদাম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে যা হার্ড এট্যাকের অনত্যম ঝুঁকি। কারণ কাজু বাদামের ম্যাগনেসিয়াম সরাসরি ব্লাডের প্রেসারকে পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
৭. হাড় শক্ত ও মজবুত করে: কাজু বাদামে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আমাদের হাড় মজবুত হয়।
৮. চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও কাজু বাদামের রয়েছে অপরিসীম অবদান। কপার হলো সেই খনিজ যা কাজু বাদামে রয়েছে এবং এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্ত করে এবং মাথাকে খুশকি দূর করে।
৯. নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে অ্যানিমিয়ার মতোন রোগের প্রকপও কমে যায়।
১০. মুখের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ঘা হওয়ার হাত থেকে কাজু বাদাম রক্ষা করে থাকে।
কাজু বাদাম খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি?
যদিও কাজু বাদাম অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। তারপরেও যদি কেউ অধিক মাত্রায় বা পরিমাণে কাজু বাদাম খেয়ে থাকে তাহলে এর ফলে শরীরের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।
কারণ, অত্যাধিক পুষ্টিকর খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলেই এলার্জি থেকে শুরু করে অন্যান্য আরও বিভিন্ন ধরনের সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়।
তবে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কাজু বাদাম না খেয়ে মাত্রা মাফিক খান তাহলে এই কাজু বাদাম আপনার শরীরের অনেক উপকারে আসবে।
আশাকরি পুরো আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে।
আপনার এই বিষয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।


