’এপিজে আবদুল কালাম’ এই নামটিই একটি অনুপ্রেরণা। এই মহৎ মানুষটি সকল মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ছিল, আছে এবং চিরকাল থাকবে।
তাই আজকে এপিজে আবদুল কালামের দেওয়া কিছু বাণী নিয়ে এই আর্টিকেলটিকে সাজানো হয়েছে যা আপনার জীবনে সফলতা অর্জনে অনুপ্রেরণা দিবে।
তাই আর দেরী না করে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
এ পি জে আবদুল কালামের বাণী সমূহ
এপিজে আবদুল কালামের বাণী সমূহ নিচে দেওয়া হলো:
১. স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখো।
স্বপ্ন হলো সেটাই যা পূরণ এর অদম্য ইচ্ছা তোমায় ঘুমোতে দেয়না।
২. আমাদের সবার দক্ষতা সমান নয় ঠিকই,
তবে আমাদের সবার কাছেই সেই দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর সমান সুযোগ রয়েছে।
৩. জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে,
তোমায় ধ্বংস করতে নয়
বরং তোমার ভেতরের লুকোনো
শক্তিকে অনুধাবন করাতে।
বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নয়।
৪. তুমি যদি তোমার কাজকে স্যালুট করো,
তাহলে তোমার আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না।
কিন্তু যদি তুমি তোমার কাজকে অসম্মান করো ফাঁকি দাও কিংবা অমর্যাদা করো,
তাহলে তোমায় সবাইকে
স্যালুট করতে হবে।
৫. ওপরে ওঠার জন্য শক্তি দরকার,
সেটা মাউন্ট এভারেস্টই হোক বা আপনার পেশায়।
৬. কঠিন কাজে আনন্দ বেশি পাওয়া যায়।
তাই সফলতার আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষের কাজ কঠিন হওয়া উচিত।
৭. স্বপ্ন দেখে যেতে হবে,
স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগে পর্যন্ত।
৮. যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না,
তাদের সাফল্য অর্জন আনন্দহীন ও আকর্ষনহীন,
এমন সাফল্যের থেকেই সৃষ্টি হয় তিক্ততা।
৯. যদি আপনি জীবনে বারবার আঘাত পেতে থাকেন তাহলে তার জন্য নিজেকে দোষী ভাববেন না,
শুধু মনে রাখবেন,
যেই গাছটির ফল সবচেয়ে মিষ্টি সেই গাছটিতেই সবচেয়ে বেশি পাথর ছুড়ে মারা হয়।
১০. যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত,
কিন্তু জ্ঞানী হলো সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে।
জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনো কাজেই আসে না।
১১. সময় কখনো পারফেক্ট হয় না সময়কে পারফেক্ট করে নিতে জানতে হয় আর যারা করতে পারে তারাই সবসময় হাঁসিমুখে বাঁচতে পারে।
১২. যদি তুমি পরাজিত হও,
তাহলে হাল ছেড়ো না,
কারণ সেটাই তোমার শেখার প্রথম পদক্ষেপ।
১৩. কাউকে হারিয়ে দেওয়া তো খুব সহজ,
কঠিন হল কাউকে জয় করা।
১৪. একটা কথা পরিষ্কার,
সৃষ্টিকর্তা তাদেরই সহায় থাকেন,
যারা কঠোর পরিশ্রম করেন।
১৫. একজন মহান ও আদর্শ শিক্ষকের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ গুণ অবশ্যই থাকা উচিত- করুণা, জ্ঞান এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি।
১৬. যে মানুষগুলো তোমাকে বলে,
তুমি পারো না বা তুমি পারবেই না,
তারাই সম্ভবত সেই লোক যারা ভয় পায় এটা ভেবে যে,
তুমি পারবে।
১৭. আমাদের কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকা উচিত যাতে কোনো বাঁধা আমাদের হারিয়ে দিতে না পারে।
১৮. জীবন ও সময় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
জীবন শেখায় সময়কে ভালোভাবে ব্যবহার করতে আর সময় শেখায় জীবনের মূল্য দিতে।
১৯. আমরা শুধুই সাফল্যের উপরই গড়িনা,
আমরা ব্যর্থতার উপরেও গড়ি।
২০. নিজের লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য,
তোমাকে তোমার লক্ষ্যের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে।
২১. উদার ব্যক্তিরা ধর্মকে ব্যবহার করে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান,
কিন্তু সংকীর্ণ মনের মানুষরা ধর্মকে যু্দ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে।
২২. গতকাল তোমায় কে আঘাত করেছে ভুলে যাও,
কিন্তু যারা তোমাকে প্রত্যেকদিন ভালোবাসে,
তাদের কখনো ভুলে যেওনা। অতীতের দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে বর্তমানে মন দাও।
সমস্ত যন্ত্রণা ভুলে যাও,
কিন্তু সেখান থেকে যে অভিজ্ঞতা তোমার হয়েছে,
তা কখনো ভুলবে না।
২৩. তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার বার্তা হলো- তাদের ভিন্নভাবে চিন্তা করবার সাহস রাখতে হবে।
মনের ভেতর আবিষ্কারের তাড়না থাকতে হবে।
নিজের সমস্যা নিজে মেটাবার মানসিকতা থাকতে হবে।
২৪. মানুষের জীবনে প্রতিবন্ধকতা থাকা দরকার,
বাঁধা না থাকলে সফলতা উপভোগ করা যায় না।
২৫. যদি তুমি সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে চাও,
তাহলে আগে সূর্যের মতো পুড়তে শেখো।
আরও পড়ুন:
- বিদ্রোহী কবিতার মূলভাব ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
- আবেগ ও আবেগিক বিকাশ কি? | আবেগিক বিকাশের বৈশিষ্ট্য
- চর্যাপদের শিল্পমূল্য নির্ণয় কর
- চর্যাপদ নিয়ে ৫০+ টি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর
- প্রতিবেদন কাকে বলে? | প্রতিবেদন লেখার নিয়ম উদাহরণ সহ ২০২৪
- ’দুঃসময়’ কবিতার মূলভাব আলোচনা কর
- সোনার তরী কবিতার মূলভাব ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর
পরিশেষে, আশাকরি এই ‘এপিজে আবদুল কালামের জীবন বদলে দেওয়া ২৫ টি বাণী’ আর্টিকেলটিতে উল্লেখিত বাণী গুলো আপনার মনে একটু হলেও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।


