’মেঘনাদবধ কাব্য’ হচ্ছে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কাব্য। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই কাব্য বাল্মীকি রামায়ণ ও কৃত্তিবাসী রামায়ণ থেকে নির্যাস সংগ্রহ করে রচনা করেছেন।
বীরবাহু হচ্ছে এই কাব্যের একটি চরিত্রের নাম।
বীরবাহুর পরিচয়
নিচে বীরবাহুর পরিচয় দেওয়া হলো:
চিত্রাঙ্গদা হচ্ছে রাবণের স্ত্রী, আর চিত্রাঙ্গদার পুত্র হচ্ছে বীরবাহু। বাল্মীকির রামায়ণে এই বীরবাহু চরিত্রটির উল্লেখ নেই।
তবে এই চরিত্রটির উল্লেখ পাই আমরা কৃত্তিবাসের রামায়ণে। বীরবাহুর নাম আমরা এই কাব্যের শুরুতেই দেখতে পাই।
যুদ্ধে বীরবাহু নিহত হয়েছে।
’সম্মুখ-সময়ে পড়ি, বীর চূড়ামনি
বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে’
বীরবাহু হচ্ছে একজন সেনাপতি। যুদ্ধে বীরবাহু সহ আরও শত শত নেতা নিহত হয়েছে।
তবে একজন যোদ্ধা বেঁচে থাকে যার নাম হচ্ছে মকরাক্ষ। রাবণ বীরবাহুর মৃত্যুর কথা এই যোদ্ধার মুখেই শুনতে পায়।
রাবণ তার পুত্রের শোকে কাতর হয়ে বিভিন্নভাবে আক্ষেপ করেন।
তারপর আবার নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে,
’এতেক কহিয়া রাজা, দূত পানে চাহি,
আদেশিলা- “কহ দূত, কেমনে পড়িল
সমরে অমর ত্রাস বীরবাহু বলী?’
রণভূমিতে প্রবল সাহসিকতার সাথে বীরবাহু যুদ্ধ করেছে।
’-হায় লঙ্কাপতি,
‘কেমনে কহিব আমি অপূর্ব কাহিনি?
কেমনে বর্ণিব বীরবাহুর বীরতা?
মদকল করী যথা পলে নলবনে,
পশিলা বীরকুঞ্জর অরিদল মাঝে
ধনুর্দ্ধর।’
বিখ্যাত ধর্নুবিদ ছিলেন বীরবাহু। চারদিকে তার ধনুকের শর ঘন মেঘের মতো শন শন করে আকাশে উঠে। অগণিত যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরবাহুর শরের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে।
’-ধন্য শিক্ষা বীরবাহু!
কত যে মরিল অরি, কে পারে গণিতে?’
তবে শেষে যুদ্ধক্ষেত্রে এলেন রামচন্দ্র এবং তিনি এসেই যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টে দিলেন ও বীরবাহু মারা গেলেন।
তবে রাবণ তার পুত্র বীরবাহুর বীরত্বের কথা শুনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল,
’সাবাসি দূত ! তোর কথা শুনি,
কোন বীর হিয়া নাহি চাহে রে পশিতে
সংগ্রামে?’
পরিশেষে বলা যায় যে, এই ‘বীরবাহুর পরিচয় দাও’ আর্টিকেলটি থেকে আমরা জানতে পারি যে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন বীরবাহু। সে তার দেশের জন্য আমৃত্যু লড়াই করেছিলেন
 
			 
    

